নতুন বিভাগ কীভাবে গঠিত হয় — বাংলাদেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার খসড়া নকশা

Murshid Ibne Masud Lohit
Written by
বাংলাদেশে বিভাগ গঠনের তাৎপর্য ও প্রক্রিয়া

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ভূগোল: বিভাগ গঠনের বহুমাত্রিক তাৎপর্য ও টেকসই প্রক্রিয়া

একটি রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন বহুলাংশে তার প্রশাসনিক কাঠামোর দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে এই কাঠামোর একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হলো ‘বিভাগ’। এটি কেবল একটি মধ্যবর্তী প্রশাসনিক স্তর নয়, বরং জাতীয় নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সুষম উন্নয়নের একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলায় প্রশাসনিক সীমানার পুনঃবিন্যাস, বিশেষত নতুন বিভাগ গঠন, দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনের এক জীবন্ত দলিল। এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয় এবং এর গভীরে কোন নিয়ামকগুলো কাজ করে, তার একটি বিশদ বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


প্রথম অধ্যায়: বিভাগ গঠনের নেপথ্যের চালিকাশক্তি (The Rationale)

নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত কোনো একক কারণে গৃহীত হয় না, বরং এর পেছনে থাকে বেশ কিছু জটিল ও আন্তঃসম্পর্কিত নিয়ামক।

  1. ১. প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও শাসনতান্ত্রিক কার্যকারিতা

    তাত্ত্বিকভাবে, যেকোনো ব্যবস্থাপনার একটি নির্দিষ্ট ‘কার্যপরিধি বা Span of Control’ থাকে। যখন একটি বিভাগের অধীনে জেলার সংখ্যা এবং ভৌগোলিক বিস্তৃতি এই পরিধিকে ছাড়িয়ে যায়, তখন প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় ধীরগতি ও অদক্ষতা দেখা দেয়। বিভাগীয় সদর থেকে দূরবর্তী জেলাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্প তদারকি, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। নতুন বিভাগ এই শাসনতান্ত্রিক অচলায়তন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি প্রশাসনিক ইউনিটকে ছোট ও কার্যকর করে তোলে, যা বিভাগীয় কমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের পক্ষে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব করে। ফলস্বরূপ, সরকারি ফাইলের দীর্ঘসূত্রিতা কমে এবং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায়।

  2. ২. জনমিতিক বিবর্তন ও নাগরিক সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা

    জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়ন প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন হয় নতুন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, আদালত এবং অন্যান্য নাগরিক পরিষেবা। নতুন বিভাগ গঠন এই অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের একটি কেন্দ্রবিন্দু বা ‘Growth Pole’ হিসেবে কাজ করে। বিভাগীয় সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নতুন নতুন সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ আসে, যা একটি পরিকল্পিত নগর কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি একদিকে যেমন বিদ্যমান বড় শহরগুলোর ওপর চাপ কমায়, তেমনই নতুন অঞ্চলে আধুনিক নাগরিক সেবা পৌঁছে দিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।

  3. ৩. ভৌগোলিক বাস্তবতা ও সেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ

    বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি—বিস্তীর্ণ নদী, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকা—অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক যোগাযোগের পথে বড় বাধা। একজন সাধারণ নাগরিকের জন্য জমিজমা সংক্রান্ত আপিল, উচ্চতর লাইসেন্স বা বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য বিভাগীয় সদরে ভ্রমণ করা শুধু সময়সাপেক্ষই নয়, ব্যয়বহুলও বটে। এই ‘সময় ও অর্থ-ব্যয়’ সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। নতুন বিভাগ গঠনের মাধ্যমে প্রশাসনিক কেন্দ্রকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়। এর ফলে দুর্গম অঞ্চলের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও সরকারি সেবা পাওয়া সহজ হয় এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দূরত্ব কমে আসে।

  4. ৪. সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক বৈষম্য বিলোপ

    উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে প্রায়শই অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখা যায়। কিছু অঞ্চল শিল্প ও বাণিজ্যে এগিয়ে থাকলেও অন্য অঞ্চলগুলো পিছিয়ে পড়ে। রাষ্ট্র এই বৈষম্য কমাতে একটি পরিকল্পিত কৌশল হিসেবে নতুন বিভাগ গঠন করে। নতুন বিভাগীয় সদর দপ্তরকে কেন্দ্র করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাংক, বীমা, এবং শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে। এটি স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র তৈরি করে। যেমন, মংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগের স্বতন্ত্র যাত্রা কিংবা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক করিডোরকে মাথায় রেখে নতুন বিভাগের পরিকল্পনা—এগুলো সবই আঞ্চলিক বৈষম্য কমিয়ে আনার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থেকে প্রণোদিত।

  5. ৫. সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহাসিক পরিচয়ের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ

    প্রশাসনিক সীমানা কেবল শাসনের জন্য নয়, এটি একটি অঞ্চলের মানুষের সম্মিলিত পরিচয়কেও ধারণ করে। প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব ভাষা, লোকসংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার রয়েছে। এই স্বাতন্ত্র্যকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদাবোধ তৈরি করে। সিলেট, বরিশাল বা রংপুরের মতো বিভাগগুলো তাদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। এই স্বীকৃতি একটি অঞ্চলের মানুষকে তাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে গর্ব করতে শেখায় এবং জাতীয় সংহতিকে আরও শক্তিশালী করে। এটি নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি অঞ্চলের আত্মাকে সম্মান জানানোর প্রক্রিয়া

  6. ৬. রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার সমন্বয়

    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন বিভাগ গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অনুষঙ্গ। এটি একদিকে যেমন সরকারের উন্নয়নমুখী নীতির প্রতিফলন, তেমনই কোনো অঞ্চলের দীর্ঘদিনের গণদাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন। জনপ্রতিনিধিরা প্রায়শই নির্বাচনী ইশতেহারে অনগ্রসর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য নতুন বিভাগ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত কেবল রাজনৈতিক ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং প্রশাসনিক সম্ভাব্যতা ও অর্থনৈতিক যৌক্তিকতার কঠোর পর্যালোচনার পরেই চূড়ান্ত হয়।


দ্বিতীয় অধ্যায়: বিভাগ প্রতিষ্ঠার বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া (The Process)

বাংলাদেশে একটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও আইনানুগ ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন হয়। এর পুরোভাগে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার - NIKAR)

  1. ধাপ ১: প্রস্তাবনা উত্থাপন ও প্রাথমিক পর্যালোচনা

    সাধারণত স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও প্রশাসনিক দূরত্ব উল্লেখ করে নতুন বিভাগের জন্য একটি যৌক্তিক প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। এই প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

  2. ধাপ ২: নিকার কর্তৃক যাচাই-বাছাই (Scrutiny by NIKAR)

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য নিকার-এর সভায় উপস্থাপন করে। নিকার একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি, যার প্রধান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এই কমিটি প্রস্তাবটির প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত কার্যকারিতা, আর্থিক সংশ্লেষ এবং জাতীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে। প্রস্তাবিত সদর দপ্তরের অবস্থান, অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় জনগণের মতামত—সবই এখানে বিবেচিত হয়।

  3. ধাপ ৩: মন্ত্রিসভায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন

    নিকার-এর সুপারিশের ভিত্তিতে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। মন্ত্রিসভা জাতীয় স্বার্থে এটিকে অনুমোদন করলে বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তটি রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গৃহীত হয়।

  4. ধাপ ৪: সরকারি প্রজ্ঞাপন (গেজেট) প্রকাশ

    মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর আইনগত ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি সরকারি গেজেট জারি করা হয়। এই গেজেটই হলো নতুন বিভাগের ‘জন্মসনদ’। এতে বিভাগের নাম, অন্তর্ভুক্ত জেলা ও উপজেলাসমূহের তালিকা এবং এর কার্যক্রম শুরুর তারিখ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

  5. ধাপ ৫: অবকাঠামো নির্মাণ ও বাজেট বরাদ্দ

    গেজেট জারির পর নতুন বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো—যেমন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ডিআইজি-র কার্যালয়, সার্কিট হাউজ এবং অন্যান্য বিভাগীয় দপ্তর—নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর জন্য জাতীয় বাজেটে একটি পৃথক কোডসহ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

  6. ধাপ ৬: জনবল নিয়োগ ও কার্যক্রম শুরু

    অবকাঠামো প্রস্তুত হওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিআইজি) এবং অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের যোগদানের মাধ্যমে নতুন বিভাগটি একটি জীবন্ত ও কার্যকর প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার যাত্রা শুরু করে।


তৃতীয় অধ্যায়: চ্যালেঞ্জ, সমালোচনা ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা

নতুন বিভাগ গঠন সর্বদাই মসৃণ হয় না। এর কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনাও রয়েছে:

  • বিপুল আর্থিক ব্যয়: নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও জনবল ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়।
  • আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বৃদ্ধি: যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে, তবে নতুন বিভাগ কেবল আরেকটি আমলাতান্ত্রিক স্তর তৈরি করতে পারে, যা সেবার গতি বাড়ানোর পরিবর্তে কমিয়ে দেয়।
  • স্থানীয় রাজনীতি ও বিতর্ক: সদর দপ্তর কোথায় হবে বা কোন জেলা কোন বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নিয়ে অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কোন্দল ও বিতর্ক দেখা দেয়।

ভবিষ্যৎ রূপরেখা:

বাংলাদেশ যত মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হবে, তত এর প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও আধুনিক ও জনবান্ধব করার প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ আরও কিছু অঞ্চল থেকে নতুন বিভাগের দাবি দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এই দাবিগুলো মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনা নয়, বরং অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দিতে হবে।


উপসংহার

বাংলাদেশের মানচিত্রে একটি নতুন বিভাগের সংযোজন কেবল একটি প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়; এটি একটি অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন, আকাঙ্খা এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন। এটি উন্নয়নের সুফলকে কেন্দ্র থেকে প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের মূর্ত প্রতীক। তাই এর প্রতিটি ধাপ যখন স্বচ্ছতা, দূরদর্শিতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তখনই তা দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অর্থবহ অবদান রাখতে পারে।

ভিডিওটি দেখেছেন তো?

এই লেখায় যে বিস্তারিত তথ্যগুলো পেয়েছেন, সেগুলোর একটি ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা দেখতে চাইলে আমার ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন।

3/related/default